সমাহার শীর্ষ সংবাদ

সমাহার শীর্ষ সংবাদ সমাহার এ আপনাকে স্বাগতম: এই ব্লগ থেকে বিভিন্ন ধরনের কৃষি পরামর্শ পাবেন। আপনিও হতে পারেন একজন সফল কৃষিখামারী।

Bangladesh

আলু চাষাবাদ পদ্ধতি

গোল আলু চাষ

গোল আলু কনটেন্টটিতে গোল আলু কীভাবে চাষ করা যায়, চাষ করার জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে কিনা, এক বিঘা জমির উৎপাদন খরচ, এর পুষ্টিমান এবং সর্বোপরি এর মাধ্যমে কীভাবে বাড়তি আয় করা সম্ভব, সে বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে।

গোল আলু চাষ



বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কম বেশি আলুর চাষ করা হয়। পৃথিবীর অনেক দেশেই আলু প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশেও ভাতের বিকল্প হিসেবে আলু খেতে বলা হচ্ছে। এর ইংরেজি নাম Potato ও বৈজ্ঞানিক নাম Solanum tuberosum. খাদ্য পুষ্টির অভাব মেটাতে আলু ভাতের বিকল্প হতে পারে। আমাদের দেশের অনেক জায়গায় এখন ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গোল আলু চাষ ও বাজারজাত করা হচ্ছে।
পুষ্টিমান 

পুষ্টির দিক থেকে আলুকে ভাত ও গমের সাথে তুলনা করা হয়। আলুতে প্রচুর শর্করা আছে।

বাজার সম্ভবনা 

বাংলাদেশে বছরে জনপ্রতি প্রায় ১৩.৩০ কেজি আলু সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ দেশে আলু প্রধানত: সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সবজি ছাড়াও আলু দিয়ে ভর্তা, চিপস্ ও নানান সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার তৈরি করা হয়ে। তাই শহর বা গ্রাম সবখানেই সারাবছরই আলুর চাহিদা থাকে। আলু চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি বাড়তি আয় করাও সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। আলু বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

গোল আলু উৎপাদন কৌশল 


জাত

১. ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশে উচ্চফলনশীল আলু জাতের অনুমোদন শুরু হয়।

২. প্রধানত: বিদেশী জার্মপ্লাজম জাত থেকে নির্বাচন করে আলুর জাত উদ্ভাবন করা হয়। 

৩. এ সব জাত হচ্ছে হীরা, আইলসা, পেট্রানিস, মুল্টা, ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, মন্ডিয়াল, কুফরী সিন্দুরী, চমক, ধীরা, গ্রানোলা, ক্লিওপ্যাট্রা ও বিনেলা। 

৪. বারি টিপিএস-১ এবং বারি টিপিএস-২ নামে ২টি হাইব্রীড আলুর জাত প্রকৃত আলু বীজ থেকে উদ্ভাবন করা হয়েছে।  

৫. আলুর অনুমোদিত জাতের  মধ্যে কার্ডিনাল ও ডায়ামন্টের চাষ বেশি হয়। 

তথ্যসূত্র : কৃষি প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, জুন ২০০৭, Microfinance  for Marginal and Small Farmers (MFMSF) Project, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট সেল-১, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), ঢাকা। 
* চাষের উপযোগী পরিবেশ ও মাটি

জলবায়ু  মাটির প্রকৃতি 
আলু শীতকালীন ফসল। আশ্বিন মাসের মাঝামাঝি থেকে অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময় আলুর বীজ লাগানোর উপযু্ক্ত সময়। তবে আগাম ফসল পাওয়ার জন্য ভাদ্র মাসে আলুর বীজ লাগানো হয়। আলু চাষের জন্য বেলে দো-আঁশ ও দো-আঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।



জমি তৈরি ও বপন পদ্ধতি

১. আলুর চাষের জন্য নরম ও ঝুরঝুরা মাটি প্রয়োজন। আলুর জমিতে ঢেলা থাকা উচিত নয়।

২. মই ও মুগুর দিয়ে ঢেলা ভেঙ্গে ফেলতে হবে ও জমি ৪-৫ বার গভীরভাবে চাষ করতে হবে।

৩. আলুর বীজ সারিতে লাগাতে হবে। জমির উর্বরতা, সেচের সুবিধা ও জাতের উপর সারি থেকে সারির দূরত্ব নির্ভর করে।

৪. সারি থেকে সারির দূরত্ব ২৪ ইঞ্চি (৬০ সে.মি.) এবং সারিতে ১০ ইঞ্চি (২৫ সে.মি.) দূরে দূরে বীজ বপন করতে হবে।

৫. ভালোভাবে জমি তৈরি করার পর সারির প্রয়োজনীয় দূরত্বে লাঙ্গল টেনে ক্ষেতের একমাথা থেকে অন্যমাথা পর্যন্ত নালা কাটতে হবে। প্রত্যেকটি নালা ৪-৫ ইঞ্চি (১০-১২ সে.মি.) গভীর করতে হবে।

৬. ৪-৫ সে.মি. মাটির গভীরে বীজ বপন করতে হবে।

সার প্রয়োগ

কৃষকদের মতে, গুণগত মানসম্পন্ন ভালো ফলন পেতে হলে গোল আলু চাষের জমিতে যতটুকু সম্ভব জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। মাটি পরীক্ষা করে মাটির ধরণ অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ ও পরিবেশ উভয়ই ভালো থাকবে। বাড়িতে গবাদি পশু থাকলে সেখান থেকে গোবর সংগ্রহ করা যাবে। নিজের গবাদি পশু না থাকলে পাড়া-প্রতিবেশি যারা গবাদি পশু পালন করে তাদের কাছ থেকে গোবর সংগ্রহ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো ফলন পেতে হলে জমিতে আবর্জনা পচা সার ব্যবহার করা যেতে পারে। বাড়ির আশেপাশে গর্ত করে সেখানে আবর্জনা, ঝরা পাতা ইত্যাদির স্তুপ করে রেখে আবর্জনা পচা সার তৈরি করা সম্ভব।

সেচ
 


বীজ আলু বপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে (স্টোলন বের হওয়ার সময়) প্রথম সেচ দিতে হবে, দ্বিতীয় সেচ বীজ আলু বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে (শুটি বের হওয়া পর্যন্ত) এবং তৃতীয় সেচ আলুর বীজ বপনের ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে (শুটির বৃদ্ধি পর্যন্ত) দিতে হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে বেশি ফলন পেতে হলে ৮-১০ দিন পর পর সেচ দিতে হবে।

রোগবালাই 

১. আলুর মড়ক বা নাবি ধ্বসা (লেইট ব্লাইট) রোগ : ফাইটপথোরা ইনফেসটেনস নামক ছত্রাকের আক্রমণে আলুর মড়ক বা নাবি ধ্বসা (লেইট ব্লাইট) রোগ হয়ে থাকে। প্রথমে পাতা, ডগা ও কান্ডে ছোট ভিজা দাগ পড়ে। ক্রমে দাগ বড় হয় ও সমগ্র পাতা, ডগা ও কান্ডের কিছু অংশ ঘিরে ফেলে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকলে ২-৩ দিনের মধ্যেই জমির অধিকাংশ ফসল আক্রান্ত হয়ে পড়ে। ভোরের দিকে আক্রান্ত পাতার নীচে সাদা পাউডারের মত ছত্রাক চোখে পড়ে। আক্রান্ত ক্ষেতে পোড়া পোড়া গন্ধ পাওয়া যায় এবং মনে হয় যেন জমির ফসল পুড়ে গেছে।

২. আলুর আগাম ধ্বসা বা আর্লি ব্লাইট রোগ : আলটারনারিয়া সোলানাই নামক ছত্রাকের আক্রমণে আলুর আগাম ধ্বসা বা আর্লি ব্লাইট রোগ হয়ে থাকে। নীচের পাতা ছোট ছোট বাদামী রংয়ের অল্প বসে-যাওয়া কৌণিক দাগ পড়ে। আক্রান্ত অংশে সামান্য বাদামী এলাকার সাথে পর্যায়ক্রমে কালচে রংয়ের চক্রাকার দাগ পড়ে। পাতার বোঁটা ও কান্ডের দাগ অপেক্ষাকৃত লম্বা ধরণের হয়। গাছ হলদে হওয়া, পাতা ঝরে পড়া এবং অকালে গাছ মরে যাওয়া এ রোগের লক্ষণীয় উপসর্গ। আক্রান্ত টিউবারের গায়ে গাঢ় বাদামী থেকে কালচে বসে যাওয়া দাগ পড়ে।

৩. কান্ড ও আলু পচা রোগ : স্কেলারোসিয়াম রল্ফসি নামক ছত্রাকের আক্রমণে কান্ড ও আলু পচা রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের আক্রমণের ফলে বাদামী দাগ কান্ডের গোড়া খেয়ে ফেলে। গাছ ঢলে পড়ে এবং পাতা বিশেষ করে নীচের পাতা হলদে হয়ে যায়। আক্রান্ত অংশে বা আশেপাশের মাটিতে ছত্রাকের সাদা সাদা জালিকা দেখা যায়। কিছু দিন পর সরিষার দানার মত রোগ জীবাণুর গুটি বা স্কেলারোসিয়া সৃষ্টি হয়। আলুর গা থেকে পানি বের হয় এবং পচন ধরে। ক্রমে আলু পচে নষ্ট হয়ে যায়।

৪. আলুর স্টেম ক্যাঙ্কার স্কার্ফ রোগ : রাইজকটোনিয়া সোলানাই নামক ছত্রাকের আক্রমণে আলুর স্টেম ক্যাঙ্কার স্কার্ফ রোগ হয়ে থাকে। গজানো অঙ্কুরের মাথায় এবং স্টেলনে আক্রমণের দাগ দেখা যায়। বড় গাছের গোড়ার দিকে লম্বা লালচে বর্ণের দাগ বা ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কান্ডের সাথে ছোট ছোট টিউবার দেখা যায়। আক্রান্ত টিউবারের গায়ে শক্ত কালচে এবং সুপ্ত রোগ জীবাণুর গুটি দেখা যায়।

৫. ঢলে পড়া এবং বাদামী পচন রোগ : সিউডোমোনাস সোলানেসিয়ারাম নামক ছত্রাকের আক্রমণে ঢলে পড়া এবং বাদামী পচন রোগ হয়ে থাকে। গাছের একটি শাখা বা এক অংশ ঢলে পড়তে পারে। পাতা সাধারণত হলুদ হয় না এবং সবুজ অবস্থায়ই চুপসে ঢলে পড়ে। গোড়ার দিকে গাছের কান্ড ফেলে দেখলে বাদামী আক্রান্ত এলাকা দেখা যায়। ঢলে পড়া গাছ খুব দ্রুত চুপসে যায়। আক্রান্ত আলু কাটলে ভিতরে বাদামী দাগ দেখা যায়। আলুর চোখ সাদা পুঁজের মত দেখা যায় এবং আলু অল্প দিনের মধ্যেই পচে যায়।

৬. আলুর মোজাইক রোগ : আলুর মোজাইক রোগে পাতায় বিভিন্ন ধরনের ছিটে দাগ পড়ে, পাতা বিকৃত ও ছোট হয়। ভাইরাস এবং আলুর জাতের উপর নির্ভর করে লক্ষণ ভিন্নতর হয়। লতা ঝুলে পড়ে এবং পরবর্তীতে গাছ মারা যায়।

৭. আলুর হলদে রোগ : স্থানীয় জাতের আলুতে আলুর হলদে রোগ বেশি হয়। পাতা কুঁচকে যায় ও ছিটা দাগ দেখা যায়। দূর থেকে আক্রান্ত গাছ সহজেই চোখে পড়ে। আলু ছোট হয় বা একেবারেই হয় না।

৮. আলুর শুকনো পচা রোগ : ফিউজেরিয়াম প্রজাতির ছত্রাকের আক্রমণে আলুর শুকনো পচা রোগ হয়ে থাকে। আলুর গায়ে গভীর কালো দাগ পড়ে। আলুর ভিতরে গর্ত হয়ে যায়। প্রথম পচন যদিও ভিজা থাকে পরে তা শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়। আক্রান্ত অংশে গোলাকার ভাঁজ এবং কখনো কখনো ঘোলাটে সাদা ছত্রাক জালিকা দেখা যায়।

৯. আলুর নরম পচা রোগ : আরউইনা কেরোটোফোরা ছত্রাকের আক্রমণে আলুর নরম পচা রোগ হয়ে থাকে। আক্রান্ত অংশের কোষ পচে যায়। পচা আলুতে এক ধরনের উগ্র গন্ধের সৃষ্টি হয়। চাপ দিলে আলু থেকে এক প্রকার দূষিত পানি বেরিয়ে আসে। আক্রান্ত অংশ ঘিয়ে রংয়ের ও নরম হয় যা সহজেই সুস্থ অংশ থেকে আলাদা করা যায়।

১০. আলুর কাটুই পোকা : কাটুই পোকার কীড়া বেশ শক্তিশালী, ৪০-৫০ মি.মি. লম্বা। পোকার উপর পিঠ কালচে বাদামী বর্ণের, পার্শ্বদেশ কালো রেখাযুক্ত এবং বর্ণ ধূসর সবুজ। শরীর নরম ও তৈলাক্ত। কাটুই পোকার কীড়া চারা গাছ কেটে দেয় এবং আলুতে ছিদ্র করে আলু ফসলের ক্ষতি করে থাকে। পোকার কীড়া দিনের বেলা মাটির নীচে লুকিয়ে থাকে। আলু কাটা গাছ অনেক সময় কাটা গোড়ার পাশেই পড়ে থাকতে দেখা যায়।

১১. আলুর সুতলি পোকা : আলুর সুতলি পোকার মথ আকারে ছোট, ঝালরযুক্ত, সরু ডানাবিশিষ্ট ধূসর বাদামী হয়। পূর্ণাঙ্গ কীড়া সাদাটে বা হাল্কা গোলাপী বর্ণের এবং ১৫-২০ মি.মি. লম্বা হয়ে থাকে। কীড়া আলুর মধ্যে লম্বা সুড়ঙ্গ করে আলুর ক্ষতি করে থাকে। বাংলাদেশে বসতবাড়িতে সংরক্ষিত আলু এ পোকার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

প্রতিকার

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে পোকা দমন না হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণের অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করা যেতে পারে।

চাষের সময় পরিচর্যা

১. আলু লাগানোর ৩০-৩৫ দিন পর গোড়ায় মাটি দেওয়া প্রয়োজন।

২. গাছ প্রায় ১৫ সে. মি. বড় হলে দুই সারির মাঝখানে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে বা নিড়ানি দিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে।

৩. প্রতিবার সেচ দেওয়ার পর মাটি একটু শুকালে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হবে।
সাবধানতা

১. জমিতে রস বেশি থাকলে বীজ আলু মাটির বেশি গভীরে রোপণ করা উচিত নয়।

২. মালচিং ব্যবহার করার ফলে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হতে পারে। তাই যথা সময়ে ইঁদুর দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ফসল সংগ্রহ

১. বীজ বপনের ৩-৪ মাসের মধ্যেই আলু তোলার উপযুক্ত হয়।

২. গাছের রং হলুদ হলে বুঝতে হবে। আলু তোলার সময় হয়েছে।

৩. সম্পূর্ণ গাছ শুকালে আলু তুলতে হবে। আলু এমনভাবে তুলতে হবে যেন আলুর গায়ে আঘাত না লাগে।

 প্রতি বিঘা জমি থেকে বছরে প্রায় ৫০-৬০ মণ আলু উৎপাদন করা সম্ভব।

গোল আলুর উৎপাদন খরচ 

* ১বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ফসল উৎপাদন খরচ

খরচের খাত পরিমাণ আনুমানিক মূল্য (টাকা)
বীজ ৭ মণ ৮০০০
জমি তৈরি ------- ৯০০
পানি সেচ সাধারণত প্রয়োজন হয় না ------
শ্রমিক ১০ জন (প্রতিজন=২০০ টাকা) ২০০০
সার প্রয়োজন অনুসারে জৈব সার এই সার বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব। তাই এর জন্য অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন নেই।
বিকল্প হিসেবে
টিএসপি=১০০ কেজি (১ কেজি=২৩ টাকা)
ইউরিয়া=১৫০ কেজি (১ কেজি=১৫ টাকা)
পটাশ=৫০ কেজি(১ কেজি=৩০ টাকা)
৪৭০০
কীটনাশক প্রয়োজন অনুসারে জৈব বা রাসায়নিক কীটনাশক নিজস্ব/দোকান
জমি ভাড়া একবছর ৪০০০
মাটির জৈব গুণাগুণ রক্ষা ও উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য জৈব সার ও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে লাভের পরিমাণ বাড়তে পারে।

 মূলধন

এক বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে গোল আলু চাষের জন্য আনুমানিক ২০০০০ থেকে ২৫০০০ টাকার প্রয়োজন হবে। মূলধন সংগ্রহের জন্য ঋণের প্রয়োজন হলে নিকট আত্মীয়স্বজন, সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও)-এর সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এসব সরকারি ও বেসরকারি ঋণদানকারী ব্যাংক বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিয়ে থাকে।

প্রশিক্ষণ 

আগে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে আলু চাষ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোন তথ্য জানতে হলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর বিনিময়ে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

প্রতিদিন আমাদের যে পরিমান পুষ্টির প্রয়োজন আমরা সে পরিমান পায় না।  আলু চাষ করে সে ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করা সম্ভব।
 ছবিঃ সরাসরি মাঠ থেকে
 সংগ্রহঃ http://www.infokosh.gov.bd

No comments:

Post a Comment